ফুলকপির এতো উপকারিতা

বাঙালির আবার ফুলকপির প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। সে খিচুড়িই হোক, বা তরকারি, সবেতেই ফুলকপি দেওয়া চাই-ই চাই। শীতকালের জন্য ফুলকপি আর ফুলকপির জন্যই বোধহয় শীতকাল! এই মৌসুমে সবজির মধ্যে ফুলকপি অন্যতম। দেখতে একদম ফুলের মতো বলেই এর নাম ফুলকপি।
তবে এ ফুলকপির পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং খনিজ। এ প্রোটিন এবং খনিজ শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই গুণগুলি আপনার বাচ্চার উচ্চতা, ওজন এবং হিমোগ্লোবিনের বিকাশে সহায়তা করতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ওজন কমানোর সেরা দাওয়াই: ফুলকপির পাতা সবজির সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করতে পারেন আবার যদি চান স্যালাডের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পাতাগুলো ফাইবার সমৃদ্ধ। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে আপনার ডায়েটে রাখতে পারেন। কেউ আবার স্যালাড, স্টু, স্যুপ বা এমনকি স্ন্যাকস আকারে খেতে পারেন।

ভিটামিন ‘এ’: গবেষণা অনুসারে, এই পাতাগুলো ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ। এটি সিরাম রেটিনলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। যা চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। রাতকানা প্রতিরোধের জন্য উপকারী ওই পাতা।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: ফুলকপির পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল রয়েছে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দূরে রাখতে সাহায্য করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে, যা দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ: এই সবজির পাতায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এটি নারীদের জন্য ভালো। বিশেষজ্ঞরা মেনোপজ পরবর্তী নারীদের জটিলতা কমাতে সাহায্য করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.