অভিভাবকদের ৫ ভুল

গ্লোবালবিজ ডেস্ক

সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে তোলার পিছনে বাবা-মায়ের ভূমিকাই থাকে সর্বাধিক। এই মানুষগুলির গুণেই সন্তানের মধ্যে কিছু ভালো স্বভাব রোপিত হয়। যার উপর বাজি ধরেই সে জীবনযুদ্ধে সব বাধা টপকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে যেতে পারে।

বাবা-মায়ের কিছু কিছু ভুলে সন্তানের চিন্তাভাবনার উপর বিরাট প্রভাব পড়ে। এমনকী এই কারণে তারা জীবনযুদ্ধে অনেকটা পিছিয়ে যেতেও পারেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব এইসব বিষয় নিয়ে সাবধান হন।

তবে কিছু কিছু অভিভাবক সন্তানকে মানুষ করার সময় একটু উদাসীন থাকেন। আর তাঁদের এহেন ভুলের হাত ধরেই সন্তানের অন্তরে জমা হয় কিছু খারাপ অভ্যাস। আর এইসব খারাপ অভ্যাস সন্তানকে সম বয়সিদের থেকে কয়েকক্রোশ পিছনে ফেলে দেয়। তাই সন্তানের ভালো চাইলে, বাবা-মায়েদের অবশ্যই কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চলতে হবে।

১. সন্তানের পছন্দকে পাত্তা না দিলেই ফাঁসবেন​
বাচ্চার উপর সব চাপিয়ে দেওয়ার অভ্যাসটা এবার ছাড়ুন। নইলে কিন্তু সে অচিরেই আপনাদের থেকে দূরে চলে যাবে। এমনকী বড় হয়েও সে আপনাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টাই করবে। তাই সন্তানকে নিজের চোখের সামনে রাখার ইচ্ছে থাকলে তার ভালোবাসার বা ভালোলাগার প্রতি একটু যত্নবান হন। এতেই শিশু মনে আপনাদের প্রতি ভালোবাসা বাড়বে।

​২. তার সব বায়না পূরণ করা চলবে না​
বাচ্চারা বায়না করবেই। কিন্তু তাই বলে তাদের সব বায়না পূরণ করা চলবে না। এই কাজটা করলে সে নিজেকে সেরা বলে মনে করবে। এমনকী আপনাদের ঘাড়ের উপর চেপে বসতে চাইবে। তখন সে কোনও কথা শুনবে না। বরং যাই মনে ধরবে, তাই কিনে দেওয়ার জন্য চিল চিৎকার শুরু করে দেবে। তাই আর যাই করুন না কেন, এই ভুলটা করা চলবে না।

৩. ভুল করলে বোঝাতে হবে​
আজকালকার অনেক অভিভাবকই বাচ্চাদের সব ভুল মেনে নেন। আর এতেই সন্তানের সাহস বাড়ে। এমনকী তার মধ্যে ভুল-ঠিকের কোনও ধারণা তৈরি হয় না। আর এই কারণেই তারা ভবিষ্যতে এমন কিছু বড়সড় ভুল করে বসে যার খেসারত দিতে হয় বাবা-মাকেই। তাই সন্তান ভুল করলে তাকে সামান্য বকাঝকা করুন। এতেই সে বুঝবে যে আপনারা তার এমন আচরণ সহ্য করছেন না। আর তারপরই সে নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টা করবে।

৪. মারবেন না​
তবে সামান্য বকাঝকা করতে বলেছি বলে, শিশুর উপর হাত তুলবেন না যেন! এই কাজটা করলে কিন্তু ছোট্টা সোনার মনে গভীর প্রভাব পড়বে! এমনকী আপনাদের এমন আচরণের সুবাদে সে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস পর্যন্ত হারাতে পারে। তাই ভুল করেও মাথা গরম করে সন্তানের গায়ে হাত দেবেন না। তার বদলে তাকে বুঝিয়ে বলুন। প্রয়োজনে শাস্তি দিন। এতেই খেলা ঘুরে যাবে। সন্তান নিজের ভুল বুঝে শুধরে যাবে।

​৫. পাশে না থাকলেই চিত্তির!​
সন্তান ভুল করবেই। এটাই তাদের ভুল করার বয়স। তবে ভুল করেছে বলে তাকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না। বরং খারাপ-ভালো সময়ে তার পাশে থাকুন। তাকে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন। আশা করছি, এই কাজটা করতে পারলেই আপনার সন্তান মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠবে। আর আপনিও তাকে নিয়ে গর্ব করতে পারবেন।

(প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।)

Leave A Reply

Your email address will not be published.