কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫,০০০ কোটি টাকা
কৃষি ও গ্রামীণ ঋণের চাহিদার কথা চিন্তা করে কৃষি ঋণের অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ৩৫,০০০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে । যা আগের অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৩০,৮১১ কোটি টাকা থেকে ১৩.৬০% বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি ও গ্রামীণ ঋণের চাহিদার কথা চিন্তা করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা ১২,০৩০ কোটি টাকা ও বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য ২২,৯৭০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগের অর্থবছরে সব তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৩২,৮২৯.৮৯ কোটি টাকার কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল। যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১০৬.৫৫%।
৩,৬১৮,৫৪৫ জনের মধ্যে কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১,৮৮১,৯৩৩ জন নারী ঋণ গ্রহীতা পেয়েছেন ১২,৭৫২.৪৬ কোটি টাকা।
এছাড়া ২,৭৩৬,০৮৭ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২২,৪০২.১৫ কোটি টাকা পেয়েছেন।
দেশের চর, হাওড় ও স্বল্পোন্নত এলাকার ৩,৪৪৯ জন কৃষকের মাঝে ১৮ কোটি ৯ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যান্য নীতির মধ্যে, বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পৃথক ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার ৩০% থেকে ৫০% পর্যন্ত বিতরণ অনুপাত বাড়িয়েছে।
ব্যাংকগুলোর নিজস্ব লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ১৩% মৎস্য খাতে ও ১৫% প্রাণিসম্পদ খাতে বিতরণ করার নির্দেশনা দিয়েছে।
ছাদে কৃষির জন্য কৃষিঋণ বিতরণের পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ি, কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষের বিষয়েও বিশেষ নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক, নতুন নিয়মে কালো চাল, ঘাস এবং অ্যাভোকাডোও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়াও গ্রামীণ এলাকায় আয়-উৎপাদনমূলক কর্মকান্ডের জন্য ঋণ দেওয়ার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন কৃষকদের কৃষি-ঋণ বিতরণ, কৃষি-সরঞ্জাম উপখাতে কৃষি ঋণ বিতরণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়াও কৃষকদের নিজস্ব জমি ছাড়াও ইজারা নেওয়া জমিতে গবাদি পশুর খামার স্থাপনের জন্য কৃষি ঋণ বিতরণ করার নির্দেশনাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়া শাখা কর্মকর্তাদের ব্যাংকের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি করার পাশাপাশি শাখা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।