ঋণ জালিয়াতি ঠেকাতে টিপসই নেওয়ার নির্দেশ
ঋণ জালিয়াতি ঠেকাতে টিপসই নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণ নিয়েছেন, জামিনদার হয়েছেন কিন্তু নিজে কিছুই জানেন না- এমন সব ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এসব ঘটনায় ঋণ আদায় না করতে পেরে বিপাকে পড়ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। আবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহক। এসব ঘটনার মামলার কারণে আদালতে বিচার কার্যক্রমও বিঘ্নিত হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে ঋণ জালিয়াতি ঠেকাতে গ্রাহক ও জামিনদারের স্বাক্ষরের পাশাপাশি বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ (টিপসই) নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, ঋণ বিতরণের আগে ঋণ সংশ্লিষ্ট চার্জ ডকুমেন্ট করাসহ প্রাথমিক ও সহজামানতের উপর চার্জ ক্রিয়েশনের বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
ঋণ গ্রহীতা ও ধরণভিত্তিক এবং ঋণের জামানত ভিত্তিক চার্জ ডকুমেন্টের তালিকা থাকে, যেখানে ঋণ গ্রহীতা এবং তৃতীয় ব্যক্তি ও পক্ষের স্বাক্ষর নিতে হয়। কিন্তু হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক, সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে বেশ কিছু রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ঋণ গ্রহীতারা এবং ঋণের জামিনদাতা উভয়ে যথাক্রমে ঋণগ্রহণ এবং জামিনদার হওয়া সংক্রান্ত দলিলে স্বাক্ষর দেননি বলে জানান। এর ফলে ঋণ আদায়ের আইনগত প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে, ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতা নিরসনে ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্যে গৃহীত ও গৃহীতব্য চার্জ ডকুমেন্টসের বিষয়বস্তু ঋণ গ্রহীতা এবং জামিনদাতাসহ সংশ্লিষ্ট ৩য় ব্যক্তি ও পক্ষকে পড়ে শুনানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে ডকুমেন্টগুলো স্বাক্ষরের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পাশাপাশি তাদের উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য সংরক্ষিত ডেটাবেইজ থেকে যাচাই করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।