গ্লোবালবিজ ডেস্ক
সারাটা দিন শুধু কাজ আর কাজ! নানারকমের কাজ করতে করতেই কেটে যায় দিনগুলো। নিজেকে একটু প্যাম্পার করার সময় বা উপায় কোনওটাই মেলে না! একটা যে বডি স্পা করাবেন, সে সময়টুকুও নেই। নিজের বাড়িতে বসেই করতে পােরন এক্সক্লুসিভ স্পা।
স্নানের জলটা খুব হালকা গরম করে নিন। এই গরমে শরীরে ঠান্ডা জল ঢাললে দারুণ আরাম লাগবে ঠিকই কিন্তু মাসলগুলো শিথিল হওয়ার অবকাশ পাবে না। জলটা অল্প গরম করে নিয়ে গায়ে ঢাললে প্রতিটি রোমকূপ খুলে যাবে, শরীরের গ্রন্থিগুলোও শিথিল হতে শুরু করবে।
প্রথমে পায়ের যত্ন থেকে শুরু করা যাক, কারণ পায়ের উপর দিয়েই সারাদিনের বেশিরভাগ ঝক্কিঝামেলাটা যায়। পায়ে ব্যথা থাকলে নিতে পারেন ফুট বাথ। জল হালকা গরম করে গামলায় ঢেলে নিন। তাতে খানিকটা সুগন্ধী সল্ট ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার গামলার জলে পা ডুবিয়ে মিনিট দশেক বসে থাকুন। আরাম তো পাবেনই, ব্যথাবেদনাও অনেক কমে যাবে।
যাঁদের বাথরুম একটু বড়ো, তাঁরা বাথটব রাখার কথা ভাবতে পারেন। বাথটবে তৈরি করে নিন বাবল বাথ। বাথটবের জলে কিছুক্ষণ চুপচাপ শরীর ডুবিয়ে শুয়ে থাকার যে আরাম, তার তুলনা হয় না! বাথটব না থাকলেও কিছু যায় আসে না! বালতিতে স্নানের জলে খানিকটা সুগন্ধী এসেনশিয়াল অয়েল ঢেলে দিন। এবার ওই জলে স্নান করুন। শরীরের প্রতিটি কোনা সুগন্ধে ভরে উঠবে! কোনও সিন্থেটিক সুগন্ধ ব্যবহার করবেন না কিন্তু! ভরসা রাখুন খাঁটি এসেনশিয়াল অয়েলে।
পিঠে বা কোমরে ব্যথা থাকলে বালতির জলেও মিশিয়ে নিতে পারেন বাথ সল্ট। গায়ে জল ঢাললেই আরাম পাবেন।
অল্প ঠান্ডা দুধে কিছুটা গোলাপজল মিশিয়ে পাতলা করে নিন। কিছু গোলাপ পাপড়ি থেঁতো করে মিশিয়ে দিন ওই জলে। এবার পাতলা মসলিন বা আদ্দির কাপড় দুধজলের মিশ্রণে ভিজিয়ে মুখে খানিকক্ষণ চাপা দিয়ে রাখুন। মুখের ত্বক উজ্জীবিত হয়ে উঠবে।
স্নানের সময় প্রাকৃতিক লুফা দিয়ে গা ঘষে নিন। সমস্ত মৃত কোষ উঠে গিয়ে ত্বক কোমল আর ঝকঝকে হয়ে উঠবে। এই সময়টায় কিছুটা ম্যাসাজও করে নিতে পারেন। আঙুলের ডগা দিয়ে পিঠ, ঘাড়, পায়ের পাতা আর গোড়ালি মিনিট দশেক চেপে চেপে ম্যাসাজ করে নিন, অনেকটা হালকা লাগবে।
হাতের কাছে রাখুন পরিষ্কার, নরম সুতির তোয়ালে। স্নানের পর চেপে চেপে গা মুছে জলটা শুষে নিন। স্নান সেরে গা অল্প ভেজা থাকতে থাকতেই ভালোভাবে ময়শ্চারাইজ়ার মেখে নিন। ভেজা ত্বকে ময়শ্চারাইজ়ার ভালো করে শুষে যেতে পারে।