রোমাঞ্চকর ম্যাচ দেখাল সিলেট-বরিশাল
টি-২০ ক্রিকেট মানেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কখনও শেষ বলে ম্যাচের ফল নির্ধারণ। কখন এক উইকেটের জয়। কখনও এক-দুই বা পাঁচ রানের জয়। জমাট ওই লড়াইয়ের হিসেবে বিপিএলের নবম আসরের সেরা ম্যাচটা দেখাল সিলেট স্ট্রাইকার্স ও ফরচুন বরিশাল। জমে যাওয়া ম্যাচে সাকিবের বরিশালকে ২ রানে হারিয়েছে মাশরাফির সিলেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নামে সিলেট। জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকা দলটি ১৫ রানে হারায় তিন উইকেট। ইনজুরি থেকে ফিরে তৌহিদ হৃদয় ৪ রান করে আউট হন। মুশফিকুর রহিমও প্রথম বলের মুখোমুখি হয়েই সাজঘরে ফিরে যান।
তবে রানে ফেরা ওপেনার নাজমুল শান্ত ছিলেন এক প্রান্তে সাবলীল। তিনি পাঁচে নামা টম মুরিসকে নিয়ে ৮১ রানের জুটি গড়েন। মুরিস ফিরে যান ৩০ বলে ৪০ রান করে। এরপর থিসারা পেরেরা ১৫ বলে ২১ রান করেন। তিনি ৬৬ বলের মুখোমুখি হয়ে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে ১১টি চার ও একটি ছক্কার শট আসে। সিলেট তোলে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান।
জবাব দিতে নেমে ফরচুন বরিশাল ভালো শুরু পায়। ওপেনার সাইফ হাসান ১৯ বলে ৩১ রান করেন। অন্য ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ৩৭ বলে করেন ৪২ রান। তিনি চারটি চার ও দুটি ছক্কার শট তোলেন। ওপেনিং জুটিতে ৪২ রান পায় বরিশাল। এরপর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে দলটি। সাকিব ১৮ বলে ২৯ রান যোগ করে ফিরে যান। ইফতেখার ১৩ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলেন। করিম জানাত করেন ১২ বলে ২১ রান। লোয়ারে নেমে মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদি মিরাজ চারটি করে বল খেলে সাত রান করে তুলে আউট হন। শেষে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৪ বলে ১০ রান করলেও জিততে পারেনি বরিশাল।
সিলেটের হয়ে ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমির দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ইমাদ ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দেন। আমির ৪ ওভারে ২৪ রান দিয় নেন দুই উইকেট। রেজাউর রাজা তিনটি ও তানজিম সাকিব দুই উইকেট পেলেও চার ওভারে যথাক্রমে ৪০ ও ৪১ রান খরচ করেন। মাশরাফি ৩ ওভারে দেন ৪২ রান। বরিশালের হয়ে পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট।