গ্লোবালবিজ ডেস্ক
সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসি কিছুদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপই তাঁর শেষ! সর্বকালের অন্য়তম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার যে, এই সিদ্ধান্ত নেবেন, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। দেখতে গেলে এলএম টেন আনুষ্ঠানিক ভাবে সিলমোহর দিয়েছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপে মেসি ট্রফির অত্যন্ত কাছে এসেও ছুঁয়ে দেখতে পারেননি। জার্মানির ১-০ গোলে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে হারিয়ে দিয়েছিল। আগামী মাসেই মেসি জীবনের শেষ বিশ্বকাপ খেলবেন। লিও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, আর্জেন্টিনা এবার ‘অলআউট’ ঝাঁপাবে! তাঁর টিম ভয় পায় না কোনও দলকেই।
মেসি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,’আমরা আজ ভালো করছি। মানুষ এটা ভেবে রোমাঞ্চিত যে, আমরা কাপ নিয়ে দেশে ফিরব। কিন্তু ব্যাপারট এরকম নয়। বিশ্বকাপ অত্যন্ত কঠিন। জেতার জন্য অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। আমরাই শুধু ভালো করছি না, বহু দলই ভালো খেলছে। তাদের চাহিদাও আমাদের মতো। এমন অনেক কিছু রয়েছে, যা আমাদের বার করে দিতে পারে। আমরা মুখিয়ে আছি লড়াইয়ের জন্য। আমরা কাউকে ভয় পাই না। কারণ আমরা মনের শান্তিতে যে কোনও দলের বিরুদ্ধে খেলতে রাজি আছি।’ ২২ নভেম্বর সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ অভিযান শুরু। মেসি বলছেন ওই ম্যাচই অনেক কিছু বলে দেবে। তাঁর সংযোজন, ‘প্রথম ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই স্নায়ুর চাপ এবং দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। আমার মনে হয় প্রথম ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জিতে শুরু করতে পারলে মনে শান্তি পাওয়া যায়। গত বিশ্বকাপে আমরা ড্র দিয়ে শুরু করেছিলাম। আমি সবসময় বলি যে, ওই ম্যাচে আমি পেনাল্টিতে গোল করে যদি জিততে পারতাম, তাহলে পুরো গল্পটাই বদলে যেত।’ গত বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টারে ফ্রান্সের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সাত গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখেছিল ফুটবলবিশ্ব।
এই মরসুমে মেসি দেশের ও ক্লাবের হয়ে আগুনে ফর্মে আছেন। ২০১৯ থেকে আর্জেন্টিনা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত। বহু ফুটবল বিশেষজ্ঞই মনে করছেন যে, এবার মেসির হাতেই হয়তো উঠবে কাপ।’ ব্রাজিলকে হারিয়ে গতবছর কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ২৮ বছর পর কোপা জয় পায় মারাদোনার দেশ। নীল-সাদা জার্সিতে ট্রফির খরা কাটিয়ে ছিলেন লিও। মেসিরা হাতে বিশ্বকাপ দেখার জন্য আশায় বুক বাঁধছেন মেসির গোটা বিশ্বের সমর্থকরা। এখন দেখার বাঁ-পায়ের জাদুকর শেষ ল্যাপে ম্যাজিক করতে পারেন কিনা! আর্জেন্টিনা রয়েছে গ্রুপ সি-তে। এই গ্রুপের বাকি দুই দল-মেক্সিকো এবং পোল্যান্ড।