কারিগরি ত্রুটির কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে-ডিএসই’র লেনদেনে বিঘ্ন ঘটার কারণে সংস্থাটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা বা সিটিওকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ডিএসই-তে বারবার লেনদেন বিঘ্নের ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডিএসই’র সিটিওকে ছুটিতে থাকতে হবে।
৩১ অক্টোবর সোমবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ৮৪৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বিএসইসির আজকের সভায় ডিএসই’র প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে ছুটিতে থাকতে হবে। এ বিষয়ে আদেশ জারি করে তা ডিএসইতে পাঠানো হয়েছে।’
জানা গেছে, সিটিওকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ছাড়াও ডিএসই’র তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে দ্রুত প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে ডিএসই’র সিটিও’র দায়িত্বে রয়েছেন মো. জিয়াউল করিম। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের যে ক্রমতালিকা রয়েছে, সেখানে দ্বিতীয় স্থানে আছে সিটিও’র নাম।
৩০ অক্টোবর রবিবার দাম সমন্বয়ের জটিলতার কারণে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে লেনদেন শুরু হয় ডিএসইতে। লেনদেনের আগেই এ জটিলতা তৈরি হলেও বিলম্বে লেনদেন শুরুর বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ডিএসই’র পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
এছাড়া গত ২৪ অক্টোবর সোমবার কারিগরি ত্রুটির কারণে ডিএসইতে লেনদেন বিঘ্নের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ডিএসই’র কারিগরি ত্রুটির কারণ ও সংস্থাটির প্রযুক্তি ব্যবস্থার কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় বিএসইসি’র পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসানকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— বিএসইসির উপপরিচালক মোহাম্মদ ওরাইসুল হাসান, সিসিবিএলের মহাব্যবস্থাপক ইমাম হোসাইন, সিডিবিএলের মহাব্যবস্থাপক মঈনুল হক ও বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ দস্তগীর হোসাইন। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
এরপর ৩০ অক্টোবর রবিবার দাম সমন্বয়ের জটিলতার কারণে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে লেনদেন শুরু হয় ডিএসইতে। লেনদেনের আগেই এ জটিলতা তৈরি হলেও বিলম্বে লেনদেন শুরুর বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ডিএসই’র পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। পরে বিষয়টি ডিএসই’র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। ফলে ওই দিন লেনদেন করতে গিয়ে বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারেজ হাউসের প্রতিনিধিরা ভোগান্তিতে পড়েন।