বাণিজ্যমেলায় শীতের প্রভাব
গ্লোবালবিজ ডেস্ক
শীতে রাজধানীর জনজীবনও বিপন্ন। তার প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার বেচাকেনায়ও। সরকারি ছুটির দিনেও মেলায় কমেছে ক্রেতা ও দর্শনার্থী। শনিবার (৭ জানুয়ারি) বাণিজ্যমেলা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেলা শুরুর পর প্রথম ছুটির দিন ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছিল। তবে তীব্র শীত পড়ায় আজকের চিত্র ব্যতিক্রম। সরকারি ছুটির দিন হলেও আগের দিনের তুলনায় ক্রেতা অনেক কম। অথচ আজ আরও ভালো ক্রেতা সমাগম আশা করেছিলেন তারা।
এদিকে, শীত বেশি হওয়ার কারণে যেসব ক্রেতা আসছেন, তাদের বেশিরভাগ মেলার মূল প্রাঙ্গণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারের (বিবিসিএফইসি) মধ্যে ঘোরাফেরা করছেন। বাইরের স্টল-প্যাভিলিয়নের ক্রেতা তুলনামূলক কম।
মেলায় আকিজ প্লাস্টিকসের সিনিয়র অপারেশন ম্যানেজার মিনহাজ বিন মিজান বলেন, ঢাকায় কয়েকদিন বেশ শীত পড়ছে। তাই কাস্টমার কম। বেচাকেনায়ও প্রভাব পড়েছে। আশা করছি, শীত কমলে মেলার কাস্টমার বাড়বে।
তিনি বলেন, সারাদেশ থেকে মেলা উপলক্ষে মানুষ ঢাকায় আসেন। এবার সেই সংখ্যাও মনে হচ্ছে কমেছে। সবমিলিয়ে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে মেলায় ঘুরতে আসা হুসাইন শফিউদ্দিন বলেন, সকালে এত ঠান্ডা ছিল যে, ঘর থেকেই বের হওয়া মুশকিল। তারপরও চলে এলাম। কারণ অন্য ছুটির দিনে সময় বের করতে পারবো না।
তিনি বলেন, তবে এমন আবহাওয়া শিশুদের নিয়ে ঘোরার জন্য উপযুক্ত নয়। প্রচুর ঠান্ডাজনিত রোগ হচ্ছে। আমরাও অল্প সময় থেকে ফিরে যাবো।
অন্যদিকে মেলায় অন্যান্য সময় তরুণ-তরুণী, যুবকরা আসেন মোটরসাইকেল নিয়ে। ঠান্ডার কারণে এমন ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কম। যারা এসেছেন তাদের বেশিরভাগ আশপাশ এলাকার। কেনাকাটার থেকে তাদের ঘোরাঘুরিতে আগ্রহ বেশি। খাওয়া-দাওয়া হৈ-হুল্লোড় করে তারা কিছুটা মাতিয়ে রেখেছেন মেলা প্রাঙ্গণ।
বাণিজ্যমেলা ঘুরে দেখা গেছে, যারা এসেছেন তাদের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ক্রোকারিজ পণ্যের স্টলে আগ্রহ বেশি। কেউ আবার ভিড় করছেন গরম কাপড়ের দোকানে। মেলায় কেউ এসেছেন বন্ধুদের নিয়ে। কেউবা এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে তারা ছবি তুলে সময় কাটাচ্ছেন বেশি। অনেকেই পছন্দের পণ্য খুঁজছেন এবং কেনাকাটা করছেন।
ক্রেতা-দর্শনার্থীর চাপ কম থাকায় মেলায় আগতরা নির্বিঘ্নে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণে আসতে পারছেন। সেখান থেকে বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাস চলছে একের পর এক। ৩০০ ফিট রাস্তায় শনিবার দুপুরে কোথাও কোনো যানজট ছিল না।