ওয়ালটনের উদ্যোক্তারা শেয়ার ছাড়তে যাচ্ছেন
শেয়ার ছাড়তে যাচ্ছেন ওয়ালটনের উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষ থেকে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা ১০ শতাংশে উন্নীত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা পাবলিক মার্কেটে শেয়ার ছাড়তে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে গত আগস্টে কোম্পানিটির একজন উদ্যোক্তা শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল কোম্পানিটির আরেক উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
তথ্যানুসারে, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তা পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম তার কাছে থাকা কোম্পানিটির ৫ কোটি ৪০ লাখ শেয়ারের মধ্যে ১ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসইর পাবলিক মার্কেটে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিদ্যমান বাজারদরে এ শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এর আগে এ বছরের ২৫ আগস্ট ডিএসইর মাধ্যমে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম তার কাছে থাকা কোম্পানিটির ৬ কোটি ৬০ লাখ শেয়ারের মধ্যে ১ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন। তিনি ডিএসইর পাবলিক মার্কেটের মাধ্যমে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিদ্যমান বাজারদরে এ শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও এখন পর্যন্ত তিনি এ শেয়ার বিক্রি করেছেন কি না এ-সংক্রান্ত কোনো ঘোষণা ডিএসইতে দেয়া হয়নি। অবশ্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দেয়া কোম্পানিটির শেয়ার ধারণ প্রতিবেদন অনুসারে, এ বছরের আগস্টে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম ৪৪ হাজার ১৮৪টি, সেপ্টেম্বরে ৭ হাজার ৯১৬টি এবং নভেম্বরে ১২ হাজার ৯১৬টি শেয়ার বিক্রি করেছেন।
ওয়ালটনের উদ্যোক্তারা শেয়ার ছাড়তে যাচ্ছেন
গত বছরের সেপ্টেম্বরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ ও বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশকে এক বছরের মধ্যে ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের পরিমাণ ১০ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছিল বিএসইসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের কাছে তিন বছরের মধ্যে ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব দেয় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। বাকি ৫ শতাংশ শেয়ার পরবর্তী সময়ে ছাড়ার কথা জানায় কোম্পানিটি। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের মে মাসে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে একটি পরিমার্জিত প্রস্তাব দেয়া হয়। এ প্রস্তাব অনুসারে ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার ওয়ালটনের ট্রাস্ট ও উদ্যোক্তা পরিচালকদের সন্তানদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। আর বাকি ৫ শতাংশ শেয়ার তিন বছরে পুঁজিবাজারে ছাড়া হবে। কোম্পানিটির এ প্রস্তাবের বিষয়টি পর্যালোচনা করে কমিশন পাবলিক মার্কেটে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার কথা জানায়। এক্ষেত্রে সময়সীমার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে আপাতত কোম্পানিটিকে শেয়ার ছাড়তে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই কোম্পানিটির দুজন উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন।